শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০১৯
গুজব রাজনৈতিক লক্ষ্যে তৈরি করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলকে বা সরকারকে বিব্রত করা বা ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য জনগণকে উসকে দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো বা কোন রাজনৈতিক ফায়দা লুটার যায় কিনা সেটাই হচ্ছে গুজব এর মূল উদ্দেশ্য। আমরা বারবারই সেটা দেখেছি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক প্রতিরোধ মোর্চা’ আয়োজিত ‘গুজব ও অপপ্রচার রোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ আরো বলেন, ২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজত নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটিও একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল। মোটকথা আমরা একটি বিষয় বলতে পারি, প্রত্যেকটা গুজব বা অপপ্রচারের পেছনে রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে করা হয়েছে। এখনো যে গুজবগুলো হচ্ছে, সেটাও কিন্তু রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা অপপ্রচারের পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ বা উদ্দেশ্য আছে।
কথা বলায় কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন টকশোতে, মিডিয়াতে, প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিদিনই তারা (বিএনপি) কথা বলে যাচ্ছে। গত দুই দিনে আমরা দেখলাম এমনও কথা বলল যে বিএনপি অফিসের সামনে আওয়ামী লীগ ডেঙ্গু মশাগুলো ফেলে দিয়ে গেছে, যার ফলে বিএনপিকর্মীদের ডেঙ্গু হচ্ছে। এটাও দেশবাসী দেখছে। কথা বলার ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা নেই। আমাদের এখানে কথা বলার ক্ষেত্রে কোন বাধা আছে তো বলে মনে করি না। এটা আমাদের প্রতি খুব সুবিচারের কথা হচ্ছে না।
বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে বলে আমরা জানি। বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে এ বিষয়টি ঠিক নয়। আজ অথবা কালকের মির্জা ফখরুল সাহেবের একটি বক্তব্য শুনলে আপনারা বুঝতে পারবেন। ফখরুল সাহেব বলেছেন, ‘সরকার বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘সরকার আছে নাকি? এখন তো বিচার বিভাগ থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয় সেটাই সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হয়।’ তার মানে বিচারব্যবস্থা বা আদালত এখন সরকার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। এ কথাই তো, তার কথা থেকে প্রমাণিত হয়েছে।
‘মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ববোধ আছে, তেমনি ধর্মীয় সংগঠনের দায়িত্ববোধ আছে এবং সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব মনে করি আমাদের অভিভাবকদের।’
আলোচনা সভায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক খায়ের মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়