বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২১
পুলিশের ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নওগাঁয় ধান কাটতে ও মাড়াইয়ের জন্য কৃষি শ্রমিক আসতে শুরু করেছে। বুধবার গাইবান্ধা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় নওগাঁয় দুই শতাধিক কৃষি শ্রমিক পাঠানো হয়।
গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নওগাঁর শহরের সান্তাহার বাইপাস মোড়ে গাইবান্ধা থেকে আসা শ্রমিকদের রিসিভ করেন নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান মিয়া।
এ সময় এসব কৃষি শ্রমিকদের থার্মাল মেশিনের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। পরে তাঁদেরকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক, ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করে পুলিশ সদস্যরা। সেখানেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার করানো হয়। ইফতার শেষে জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় এসব শ্রমিকদের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, দেশের অন্যতম বোরো উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁ। প্রতি বছর আমন ও বোরো মৌসুমে জেলার অভ্যন্তরীণ কৃষি শ্রমিক ছাড়া বাইরের জেলার আরও ৭০-৮০ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয় এ জেলায়। যে সব জেলায় ধান উৎপাদন কম হয়, ওই সব জেলার কৃষি শ্রমিকেরা এ জেলায় ধান কাটতে আসেন।
কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এ জেলায় বাইরের জেলা থেকে ধান কাটা শ্রমিক আনা হয়েছিল। এবারেও বিভিন্ন জেলা পুলিশের উদ্যোগে নওগাঁ জেলায় ধান কাটা শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাইবান্ধা থেকে ২১২ জন শ্রমিক আসার মধ্য দিয়ে আজ থেকে এ জেলায় বাইরে থেকে শ্রমিক আনার কার্যক্রম শুরু হলো।
আগামী ছয়-সাত দিনের মধ্যে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৬০ থেকে ৭০ কৃষি শ্রমিক এ জেলায় আসার কথা রয়েছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৪০ জন কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে শ্রমিক রয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ১৮৫ জন। অর্থাৎ আরও ৭৮ হাজার ৮৫৫ জন শ্রমিক অন্য জেলা থেকে নিয়ে আসতে হবে।
চাহিদা অনুযায়ী কৃষি শ্রমিক দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের ইতোমধ্যে জেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। বাইরে কৃষি শ্রমিক নিয়ে আসার কাজ চলছে। আশা করছি, ধান কাটা শ্রমিকের কোনো সংকট হবে না।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়