শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২০
গত ২৮ ডিসেম্বর নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের তেলিপুকুর এলাকার একটি ফসলে মাঠ থেকে অজ্ঞাত এক নারীর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সনাক্তের পর জানা যায় ওই নারীর নাম হালিমা খাতুন (২২)। বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে। এ হত্যায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। বেড়িয়ে আসে হত্যার লোমহর্ষক তথ্য।
জানা যায়, ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হালিমা ও শামীম সরদার (৩৬)। শামীম নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দোয়ালি (কোয়ালিপাড়া) গ্রামের সেলিম সরদারের ছেলে। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এতে খুশি হয়নি শামীম। প্রায়ই হালিমাকে মারধর করতেন। এক পর্যায়ে তারা পৃথক থাকার সিদ্ধান্ত নেন। হালিমা মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় বাবার কাছে চলে আসেন। এর দেড় মাসের মাথায় না জানিয়ে আরেকটি বিয়ে করেন শামীম। এ খবর জানতে পেরে মেয়েসহ তাকে নিয়ে যেতে চাপ দেয় হালিমা। এরপরই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে শামীম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শামীম জানায়, মেয়েকে না নেওয়ার শর্তে তারা সংসার করবেন। ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে হালিমাকে নিয়ে নওগাঁ রওনা হন শামীম। বিকেল ৫টায় নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে নেমে রিকশায় করে বর্সাইল বাজারের উদ্দেশ্যে তারা রওনা হন। পথে এক অজুহাতে চাকু কিনে লুকিয়ে রাখেন শামীম। পরে কীর্ত্তিপুর এলাকার একটি ফসলের মাঠে হালিমাকে জবাই করে হত্যা করেন। লাশ যাতে সনাক্ত না করা যায় সেজন্য চাকু দিয়ে কেটে মুখ বিকৃত করে দেন।
নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দি হোসেন জানান, ৯ জানুয়ারি ঢাকার কাফরুল থানার বাইশটেক এলাকা থেকে শামীমকে আটক করে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। ১০ জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স/এমএস
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়