শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ইরি-বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শীত উপেক্ষা করে এখন দিন-রাত জমিতে সেচ, হালচাষ চাষ, বীজতলা থেকে চারা তোলাসহ বোরো ধান চাষের নানান কাজে এখন ব্যস্ত তারা যেন দম ফেলার সময় নাই । তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতিবোরো মৌসুমে চাষাবাদ করে বাম্পার ফলনের মধ্য দিয়ে ধানের নায্যমূল্য পাওয়ার আশায় তারা আগের ক্ষতিগুলো পুষিয়ে নিতে চান।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮০০ হেক্টর। তবে ধারনা করা হচ্ছে এ মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
উপজেলার নাদৌড় গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরা চাষ করছেন। পুইয়া পদ্মপুকুর, কাঞ্চন গ্রামের একাধিক কৃষক জানান এবছর আমন ধানের নায্যমূল্য না পাওয়ায় বর্তমানে অনেকেই পানির দামে ধান বিক্রি করে আবারও বোরো ধানের নায্যমূল্য পাওয়ার আশায় চাষে ঝুকে পড়েছেন। তাঁদের প্রতি বিঘায় সেচ, চাষ, সার ও কীটনাষক এবং মজুরিসহ সর্বমোট ৭/৮ হাজার টাকা খরচ করছেন। চলতি মওসুমে মাঠে কাটারী জিরা, বাবু জিরা, ব্র্রি ৫৮ জাতের ধান রোপন করছেন।
এলাকার আরও অনেক চাষীরা জানান, গত ৩ বছর যাবত ধানের নায্য মূল্য না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে ভুট্টা, আলু ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে চারা থেকে শুরু করে ডিজেল ও সারের সংকট না থাকায় বিভিন্ন মাঠে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ ইতোমধ্যেই ব্যপক ভাবে শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০% ধান রোপন সম্পন্ন হয়েছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ধান কাটা মাড়াই পর্য›ত কৃষকদের পাশে থাকবে কৃষি বিভাগ কৃষকেরা যেন ধান চাষে কোন সমস্যা না হয়, এ জন্য র্সাবক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ ।
স/এমএস
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়