বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বেগম জিয়ার মুক্তি আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্বের ব্যর্থতায় দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নেতা-কর্মীদের কাছে হারানো গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পেতে এবার আক্রমণাত্মক রাজনীতির কৌশল বেছে নিয়েছেন তিনি। যার কারণে প্রতিদিন রাজনৈতিক দলগুলোকে টার্গেট করে মিথ্যাচার করছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক চরিত্রের বিষয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যমূলক রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে সজ্জন ও মার্জিত রাজনীতিবিদ হিসেবে মনে করাটা আমার ভুল ছিল। তিনি আসলে বুদ্ধিদীপ্ত মিথ্যুক। বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলেন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। আসলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিহিংসার টার্গেটে পরিণত করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আক্রমণাত্মক মন্তব্যে আমি হতবাক। জাতীয় পার্টি নাকি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল। আসলে ক্ষমতাসীনদের সাথে লড়াইয়ে হেরে অন্যান্য দলগুলোকে হেয়-প্রতিপন্ন করে দলে নিজের অবস্থান পুষ্ট করার চেষ্টা করছেন। শুনেছি, দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। একদিকে বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়, অন্যদিকে তার নেতৃত্বের কারণে দলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে বলেও গুঞ্জন আছে। এছাড়া আগামী কাউন্সিলে মহাসচিবের পদ থেকে ছিটকে পড়ার ভয়ে তিনি এমন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আসলে ক্রোধ তো নিম্নমুখী। তাই ক্ষমতাসীন দলের রাগ জাতীয় পার্টির উপর ঝাড়ছেন মির্জা ফখরুল।
এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, শুনেছি বৃহত্তর সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠনে জাতীয় পার্টিকে পাশে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। যার কারণে প্রতিনিয়ত খিস্তি-খেউর করছেন দলটির নেতারা। এটি রাজনৈতিক কৌশলও হতে পারে। আসলে রাজনীতিতে পরচর্চা খুব সহজ একটি বিষয়। এটি নিয়ে এতটা সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়