শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২০
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী আব্দুস সামাদ মন্ডল এখন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা হিসেবে চা বিক্রি করে টানা-পোড়ার মধ্যদিয়ে চালাচ্ছে সংসার! তাঁর ভাগ্যে মেলেনি কোন দলীয় বা সরকারী সুযোগ সুবিধা।
আব্দুস সামাদ মন্ডল তাঁর নিজ এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে একান্ত এক সাক্ষাতকারে এ ভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
আব্দুস সামাদ মন্ডল ১৯৬০ সালে উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে এক আওয়মী লীগ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম মৃত গশির উদ্দিন মন্ডল। জন্মের পর থেকে পৈত্রিক ভাবে তিনি আর্থিক সামলম্বী ছিলেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আর্থিক ভাবে বিধ্বস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা।
আব্দুস সামাদ মন্ডলের দাবি, তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ১৯৮০ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি জন্মস্থান ছেড়ে সাপাহার উপজেলা সদরের জয়পুর মাষ্টার পাড়ায় ২ ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ৩ শতাংশ জায়গার উপর একটি বসতবাড়ী নির্মাণ করে এই বাড়িতে শুরু করেন সংসার জীবন।
রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করে একটানা ১০/১২ বছর সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন এবং নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের কান্ডারী এই আব্দুস সামাদ মন্ডলের আর্থিক অবস্থা অসচ্ছল হওয়ায় প্রতিদিন দুইটি চায়ের ফ্লাক্স হাতে নিয়ে রাস্তায় আর হাটবাজারে ফেরি করে বিক্রি করে চা। যা থেকে তাঁর আয় প্রতিদিন ৩/৪শ টাকা। যা দিয়ে বর্তমান সময়ে সংসার চালানো প্রায় দুষ্কর। তাঁরপরও আব্দুস সামাদ মন্ডল সারাদিন চা বিক্রি করে সন্ধার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে প্রতিদিন প্রায় ২/৩ ঘন্টা সময় দেন। পূর্বের ন্যায় এখনো ভালোবাসা কমেনি তাঁর প্রাণের দল আওয়ামী লীগের প্রতি।
এক পর্যায়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমানে সে কোন প্রকার দলীয় বা সরকারী ভাবে কোন আর্থিক সহযোগীতা পাননি। তবে তিনি মনে করেন তাকে যদি সরকার দলের পক্ষ থেকে কোন অনুদান প্রদান করে তাহলে তাঁর শেষ বয়সের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতো।
স/এমএস
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়