বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০১৯
নওগাঁর রানীনগরে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে রানীনগর উপজেলা থেকে দক্ষিণে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া-গোনা এলাকায় আবু বক্কর নামে এ ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তায় ট্রেনটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। আবু বক্কর উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রানীনগর স্টেশন আউটারে চকের ব্রিজের আগে বড়বড়িয়া-গোনা এলাকায় রেললাইনের নিচের অংশ প্রায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে। রেল লাইন পার হওয়ার সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিষয়টি আবু বক্করের নজরে আসে। তিনি দেখেন যে কোনো সময় লাইনটি ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরপর তিনি স্থানীয় কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে ভাঙা রেল লাইনের পাশে অপেক্ষা করেন। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেন রানীনগরে ঢুকছিল। তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তি লাল গেঞ্জি উঁচিয়ে ট্রেন থামার জন্য সংকেত দেন। এ সময় ট্রেনচালক রেললাইনের ভাঙা অংশের আগে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় হাজারো যাত্রী। এরপর ট্রেনচালক বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান।
আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রেললাইনের একটি অংশ স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কার ভাঙা দেখতে পান। তার বুদ্ধিমত্তায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। ভাঙা স্থানের পাশে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেমে যায়।
এতে রানীনগরে আটকা পড়েছিল ঢাকাগামী আন্তনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। এছাড়া আত্রাই আহসানগঞ্জে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রেললাইনের ভাঙা ওই অংশ সরিয়ে সেখানে আরেকটি পাত বসিয়ে সংস্কার করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়