ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার বিকল্প নেই
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভালো সম্পর্ক ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের গত্যন্তর নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে সম্প্রতি দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারের সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম মাসে নেওয়া উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।
ভারত সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী বলা যায়। কারণ, চারদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে। কাজেই তার সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক হওয়া উচিত এবং হবে। এ ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই, তাদেরও গত্যন্তর নেই। দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রেখে কেউ লাভবান হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হবে ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। বন্ধুত্বের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া—এটাই আমাদের উদ্যোগ। পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন আছে। দুই দেশের মধ্যকার চলমান বিরোধ নিরসনে দুই দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিলেই সেটার সমাধান হবে। সার্ক একটা পরিবারের মতো ছিল। আমরা সেই কাঠামোতে ফিরে যেতে পারি কি না, দেখব। শুধু ভারতের সঙ্গে না, দক্ষিণ এশিয়ায় যত দেশ আছে, সবাই যেন পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। শান্তিপূর্ণ জোন হিসেবে আমরা একে গড়তে চাই।
বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সার্ক ও বিমসটেককে সক্রিয় করার চেষ্টা করব।
সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা হলো সবার প্রথমে। যেহেতু বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা আসছি, কাজেই প্রথম দায়িত্ব হলো শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব। মানুষের সীমাহীন আকাঙ্ক্ষা। আমাদের দায়িত্ব অনেক। অর্থনীতি একটা বিশৃঙ্খল, ভঙ্গুর অর্থনীতি হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে মানুষ এত বিক্ষুব্ধ। সবকিছু লুটপাট। এটা লুটের একটা সরকার ছিল। কাজেই সেই লুটের সরকার থেকে সত্যিকার সরকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা—এটাও মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা এবং এটা দ্রুত দেখতে চায়। সেগুলো আমাদের করার চেষ্টা। এক মাসের মধ্যে আমাদের যতটুকু সম্ভব করেছি।
সংবিধান বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংবিধানে হাত দিতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে—সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে, না কি এই সংবিধানেই কিছু সংশোধন করা হবে? এ বিষয়ে মতভেদ আছে। এজন্য কমিশন হবে, বিচার বিবেচনা করবে, একমত হবে। এর ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করতে পারছি না। কী ধরনের নির্বাচন হবে, কী কী নির্বাচন হবে—সবকিছুই সংবিধানের ভেতরে থাকবে। পুরো আন্দোলনের ব্র্যান্ড নেইম হচ্ছে সংস্কার। সংস্কার হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার অংশীদার। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি যেন আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পূরণ করতে পারি।
অর্থনীতি নিয়ে তিনি বলেন, বিগত সরকার ব্যাংকিং সিস্টেম পুরোটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলতে কোনো জিনিস ছিল না। এগুলো সবকিছু নতুন করে গড়ে তুলতে হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে হলে, সামনে নিয়ে যেতে হলে করতে হবে। আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ভিত্তিটা করতে হবে। কিছুটা শৃঙ্খলা এসেছে। সবটা পেরে গেছি, তা না। বৈদেশিক মুদ্রার অভাব আছে। বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বিশাল বিশাল অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো শোধ করার পালা এসেছে আমাদের ওপরে। তারা নিয়ে গেছেন, ভোগ-দখল করেছেন। এখন টাকাটা জনগণকে শোধ করতে হবে। সেই পরিশোধের টাকা কোথা থেকে আসবে, কীভাবে আসবে—এই চিন্তা আমাদের বড় চিন্তা। আমরা পৃথিবীর সামনে এমন একটা রাষ্ট্র হতে চাই না, যে তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারে না। আমরা অঙ্গীকার রক্ষা করতে চাই। অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তির ওপরে দাঁড় করাতে চাই, যেন ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি না হয়।
সুশাসনের বিষয়ে ইউনূস বলেন, চেষ্টা করছি আমরা, কিন্তু পুরোপুরি হয়নি। প্রশাসনে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। বহু পরিবর্তন হয়েছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হয়েছে। সব ভিসিই চলে গেছেন। ভিসি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে প্রো-ভিসি দিতে হচ্ছে এবং এই নিয়োগে সবাই খুশি। আবার নতুন করে বিচার ব্যবস্থা চালু হবে। অনেক পরিবর্তন আমাদের একসঙ্গে করতে হচ্ছে। অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, এখনো সন্তুষ্ট হওয়ার সময় আসেনি। আমাদের প্রথম দৃষ্টি হচ্ছে তালিকা করা। এরপর সব শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নেবে সরকার।
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তিনি বলেন, সব দেশে সংখ্যালঘু নিয়ে সমস্যা হয়। সংবিধানের অধিকার সবার প্রাপ্য। আমরা তো হিন্দুর প্রাপ্য, মুসলমানের প্রাপ্য কী, বৌদ্ধর প্রাপ্য—এ রকম করে ভাগ করে দিইনি। সরকারের দায়িত্ব হলো এই অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করা।
নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন করতে হবে, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন হিসেবে যেন গৃহীত হয়। তাহলে মনে করব যে, আমাদের এই সময়টা সার্থক হয়েছে। সেটার জন্য পরিবেশ লাগে, আইন লাগে। সংবিধান হলে নির্বাচনী আইন, নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এই সরকারের বড় জিনিস হলো সংস্কার। এই সংস্কারটা সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের সবকিছু কলাপ্স (ভেঙে পড়া) করে গেল—এমন যেন না হয়। হঠাৎ করেই সবকিছু জিরোতে গিয়ে পৌঁছবে না। পুরোনো বাংলাদেশ ইতি। এটা নতুন বাংলাদেশ, আমরা নতুন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জেগে উঠব।
নওগাঁ দর্পন- বিমানবন্দরে আসিফের ব্যাগে অ্যামোনেশনসহ ম্যাগাজিন, ব্যাখ্যা দিলেন
- বদলগাছীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার বিতরণ
- আত্রাইয়ে পুত্রের হাতে পিতা খু’ন, জনমনে নানা প্রশ্ন
- পোরশায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সভা
- মহাদেবপুরে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
- ভরা মৌসুমেও নওগাঁয় অস্থির চালের বাজার, বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০০
- উত্তরাঞ্চলে একের পর এক ওসিকাণ্ডে আলোচনায় পুলিশ
- সাপাহারে ত্রৈমাসিক হাব সভা
- নওগাঁয় সর্বজনীন পেনশন মেলা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নওগাঁর ধামইরহাটে সড়ক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আত্রাইয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
- ২৯ কিমি সড়কে ৩০ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক, চার যুগেও ঘুচলো না দুর্ভোগ
- সাপাহারে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- ৬ দফা দাবিতে নওগাঁয় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
- নওগাঁয় সম্প্রীতি সভা
- নওগাঁ নির্বাচন অফিসে ছদ্মবেশে দুদক, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ
- সাবেক সিইসি গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি
- নওগাঁয় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওসিসহ প্রত্যাহার ৬
- আ. লীগের আমলে জামায়াত সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত
- বিকালে ইসিতে যাবে এনসিপি
- নওগাঁয় গরুর ফার্মের মালিকের বাসা বাড়িতে ডাকাতি
- নওগাঁয় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের বিচার দাবি
- ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়কে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার, প্রাণ গেল বাবা-ছেলে
- নওগাঁয় মন্দিরের সভাপতিকে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার ব্যবসায়ীর
- নওগাঁয় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই পুলিশ প্রত্যাহার, প্রশ্নপত্র বাতিল
- নওগাঁয় অস্থির চালের বাজার, মজুদ করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ
- নির্বাচনী প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার, আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন ইসির
- এখন থেকে ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি : উপদেষ্টা ফারুকী
- নওগাঁ মোকামে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১-৩ টাকা
- গুমের শিকারদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের...
- সংকট কাটাতে নজর বিদেশি সহায়তায়
- শিল্পাঞ্চলে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য
- তারুণ্যের রঙে রঙিন হয়ে উঠুক বাংলাদেশ
- দেশত্যাগ ঠেকাতে ৬ শতাধিক প্রভাবশালীর পাসপোর্ট ব্লকড
- হত্যা মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিন
- ডলারের বাজারে কোনো অস্থিরতা নেই
- নির্বাচনী প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার, আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন ইসির
- নওগাঁয় হাসপাতাল-ক্লিনিক থেকে ভুয়া নার্স অপসারণের দাবিতে মানবন্ধন
- পোরশায় বিজিবি’র জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা
- নওগাঁয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা
- শয়তানের প্রতীকে আজ পাথর ছুড়বেন হাজিরা
- ২৪ দিনে এসেছে ১৭২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
- মান্দায় বিএনপি’র বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবে সরকার
- পোরশায় তোপের মুখে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ
- দেয়ালে দেয়ালে প্রতিবাদ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন
- নিয়ামতপুরে খাল খননে ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষকের
- রোজার আগেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ড.ইউনূস-তারেক বৈঠকে
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যসহ নিহত ৩
- রাণীনগরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু
- ৫ শিল্প মালিকের কর নথি অনুসন্ধানে এনবিআর
- নওগাঁয় নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ফুতপাতে কেনাকাটা
- সাপাহারে ত্রৈমাসিক হাব সভা
- আহতদের পুনর্বাসন করা হবে
- নওগাঁয় মেম্বার নান্নুর দাপটে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা
- নওগাঁয় জানালার গ্রিল কেটে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৭০ লাখ টাকা লুট
- নওগাঁয় চিকিৎসক সংকটে সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে ক্লিনিকে ছুটছেন রোগীরা
- নওগাঁ-৬ আসনের প্রার্থীতা বাছায়ের মত বিনিময় অনুষ্ঠিত
- দুর্বল ব্যাংককে আর তারল্য দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- গুমের শিকারদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের...
- সংকট কাটাতে নজর বিদেশি সহায়তায়
- শিল্পাঞ্চলে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য
- তারুণ্যের রঙে রঙিন হয়ে উঠুক বাংলাদেশ
- দেশত্যাগ ঠেকাতে ৬ শতাধিক প্রভাবশালীর পাসপোর্ট ব্লকড
- হত্যা মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিন
- ডলারের বাজারে কোনো অস্থিরতা নেই
- নির্বাচনী প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার, আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন ইসির
- ২৪ দিনে এসেছে ১৭২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
- জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবে সরকার
- দেয়ালে দেয়ালে প্রতিবাদ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন
- রোজার আগেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ড.ইউনূস-তারেক বৈঠকে
- বিমানবন্দরে আসিফের ব্যাগে অ্যামোনেশনসহ ম্যাগাজিন, ব্যাখ্যা দিলেন
- ৫ শিল্প মালিকের কর নথি অনুসন্ধানে এনবিআর
- আহতদের পুনর্বাসন করা হবে