নিয়ামতপুরে পৃথক ঘটনায় গৃহবধুসহ ৪ জন আহত

নওগাঁর নিয়ামতপুরে পৃথক দুটি ঘটনায় এক গৃহবধুসহ চারজন আহত হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গৃহবধুর অবস্থা আশংকাজনক রয়েছে।

শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যে সাড়ে ৭টায় উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের শাংগইল গ্রামে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এক গৃহবধুসহ ৩জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী মোসাঃ রোকসানা বেগম (৩৫), মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ওসমান গনি (১৭) এবং আব্দুর রাজ্জাক (৪০)। এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগ ঘটনার সময় সন্ধ্যে সাড়ে ৭টায় আমার ছেলে ওসমান গনি তার দাদার সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি করছিল এমতাবস্থায় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার গ্রামেরই ইসলামের ছেলে জলিল (৪৩) ও আকবার আলী (৪৬), হাসানের ছেলে রানা (৩৫)ও ইব্রাহীম (৪১) এবং জলিলের ছেলে তালেব (৪৫) দেশীয় অস্ত্র লাঠি, রড নিয়ে আমার ছেলে ওসমান গনির উপর এলোপাতাড়ি মার শুরু করে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমার স্ত্রী রোকসান বেগম ও আমার উপরও আক্রমন করে মারধর শুরু করে। এতে আমার স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আমার ও আমার ছেলের শরীরেও বিভিন্ন জায়গায় মারত্মক জখম হয়। বর্তমানে আমরা সবাই নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছি।

অপর দিকে শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারী রাত সাড় ৮টায় সামান্য ঘটনার জের ধরে উপজেলা চন্দননগর ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের জয়েন উদ্দিনের ছেলে মোঃ বায়েজিত (১৭) কে একই গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৮), এমাজউদ্দিন (৫০) ও মিরাজ উদ্দিন, এমাজউদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন তোতা (৩০), সাগির হোসেন সুজন (২৫) ও জাকির হোসেন রিপন (২৭), মিরাজউদ্দিনের ছেলে হাবিব স্বপন (২৫) দেশীয় অস্ত্র লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ বিষয়ে আহতর বাবা জয়েন উদ্দিন বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

জয়েন উদ্দিন লিখিত অভিযোগে বলেন, ঐ দিন সকাল ৯টায় সামান্য ঘটনায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার বাড়ীতে হানা দেয়। পরে তা মিমাংশাও হয়ে যায়। আমার ছেলে বায়েজিত ঐদিন সন্ধ্যে সাড়ে ৭টায় প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ী থেকে বরে হয়। প্রাইভেট পড়ে রাত সাড়ে ৮টায় বাড়ীর উদ্দেশ্যে আসার পথে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার ছেলেকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মেরে অজ্ঞান করে গুম করার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশীদের সাহায্যে ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর হাসপাতালে ভর্তি করি।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।