রোববার ১৬ জুন ২০২৪ আষাঢ় ১ ১৪৩১ ০৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৯
নাম তার ‘প্যারা সন্দেশ।' নওগাঁ জেলার প্যারা সন্দেশ একবার যিনি খেয়েছেন তাকে বারংবার মনে করতে হবে এর সুস্বাদু স্বাদের কথা। মুখে দিলেই হাওয়ায় মিষ্টির মতোর যেন গলে যায়। নওগাঁ জেলা শহরের কালিতলা পূজা মন্ডপের প্রধান গেট সংলগ্ন ছোট ওই মিষ্টান্নের দোকানটা প্রায় শত বছরের পুরনো। যতোদূর জানা যায় যে, প্যারা সন্দেশ দেব দেবীর ভোগের জন্য। পরবর্তীতে এই প্যারা সন্দেশের সুখ্যাতি জেলা শহরের গন্ডি পেরিয়ে দেশ বিদেশের বহু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। প্যারা সন্দেশ এমনিতেই এক সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। কৃত্রিম উপায়ে অনেকদিন রাখা সম্ভব। নওগাঁর কালিতলা ‘প্যারা সন্দেশ' মিষ্টির দোকানের মালিক বাবু নারায়ণ চন্দ্র জানান, ৭ লিটার দুধে এক কেজি প্যারা সন্দেশ তৈরি করা যায়। প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন ক্ষির তৈরি করা হয়। ১ কেজি ক্ষিরে আধা কেজি চিনি দিতে হয়। ক্ষির যখন হাতায় জড়িয়ে আসে তখন উষ্ণ ক্ষির দু'হাতের তালু দিয়ে রোল করে চাপ দিলেই তৈরি হয়ে যায় হালকা খয়েরি রঙের প্যারা সন্দেশ। এখানকার প্রতিটি প্যারা সন্দেশ প্রায় আধা ইঞ্চি চওড়া ও ২ ইঞ্চি লম্বা। ৭৫ থেকে ৮০ পিচে ১ কেজি ওজন হয়। নওগাঁ জেলা শহরের সব মিষ্টির দোকানে প্যারা সন্দেশ পাওয়া যায়। কিন্তু কালিতলা পূজামন্ডপের সঙ্গে নারায়ণ চন্দ্র কারিগরের হাতের তৈরি প্যারা সন্দেশ এখনসবার প্রিয়। আপনি নওগাঁ শহরে বেড়াতে এলে অবশ্যই নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ‘প্যারা সন্দেশ' খাবেন এবং ফিরতি পথে ‘প্যারা সন্দেশ' পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের জন্য আনতে ভুলবেন না কিন্তু।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়