শহীদ বুদ্বিজীবী দিবসের উপলব্ধি
ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
ডিসেম্বরের ষোল- বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে গর্বের দিন, আর সেই সাথে আনন্দেরও। কিন্তু ষোল’র আনন্দ ম্লান হয়ে যায় চৌদ্দ’য় এসে। শোকের আবহে বাঙালি অবগাহন করে তার সবচেয়ে বড় বিজয়টিকে প্রতিটি বছর। একাত্তরের ন’টি মাসই গোটা বাংলাদেশ ছিল বিশাল এক বধ্যভূমি। ন’টি মাস জুড়েই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর তাদের এদেশীয় দোসররা গোটা দেশজুড়ে হত্যা আর ধর্ষণের উন্মত্ততায় মেতেছিল। এর মধ্যেও ১৪ ডিসেম্বর একটু অন্যরকম, অনেক বেশি শোকের। ১৪ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে যে দেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞ পাক সেনাবাহিনীর এদেশীয় দোসররা চালিয়েছিল তার প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্নতর।
ডিসেম্বরের শুরুতেই ভারতের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি বিমানবাহিনী। ডুবন্ত মানুষের খড়কুটো আঁকড়ে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা ছিল এটি। এর পরপরই সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যায় ভারত। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে-ই পাকিস্তানিদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল যে এই যুদ্ধে তাদের পরিণতি কি হতে যাচ্ছে। ইতিহাসে কখনই যা ঘটেনি, যার সাক্ষ্য দেয় না কোন ইতিহাসই কোনোদিনই, তা-ই ইতিহাস হতে চলেছিল।
সম্মিলিত বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তানের পরাজয় আর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় যে অত্যাসন্ন এই বুঝ তাদের ততদিনে ভালোই বুঝা হয়ে গিয়েছিল। তারা বুঝতে পারছিল চীনের হস্তক্ষেপ দুরাশা মাত্র আর কোনো কাজেই আসতে যাচ্ছে না মার্কিন সপ্তম নৌবহরও। এ সময় তাদের মূল লক্ষ্যই হয়ে দাঁড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর আর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যা কিছু সম্ভব তা-ই করা। আর এই পরিকল্পনার অন্যতম দিক ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড।
দেশের যারা বিবেক, যারা স্বাধীন দেশকে তাদের বিচার-বুদ্ধি-প্রজ্ঞা দিয়ে সঠিক পথে চালিত করবেন, তাদের অনুপস্থিতিতে দেশটা যে দিকভ্রান্ত হতে বাধ্য, এই অংক তাদের কষাই ছিল। আর তাই আত্মসমার্পণের ঠিক আগে আগে সারাদেশ থেকে দেশের যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান, যে সব পেশাজীবীরা নিজ নিজ প্রজ্ঞায় পেশার ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও দশকে দিকনির্দেশনা দেয়ার যোগ্যতা রাখতেন আর হতে পারতেন স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহচর, তাদের ধরে ধরে নির্বিচারে রায়েরবাজারসহ সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বধ্যভূমিগুলোতে চরম নির্যাতনের পর হত্যা করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এদেশীয় দালালরা।
তাদের এ পরিকল্পনা যে কতটা সফল ছিল তার সবচাইতে বড় প্রমাণ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। বাঙালির হাতেই বাঙালির ত্রাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ড। এই পরের ইতিহাস বড়ই নোংরা আর কদর্য। একুশটি বছর ধরে টানা এদেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল মেধাহীন, রুচিহীন পাকিস্তানপন্থী বাংলাস্তানিরা। বিলুপ্ত হয়েছিল সংবিধানের চার মূল স্তম্ভ আর ‘বাংলাদেশ বেতারকে’ ‘রেডিও বাংলাদেশ’ আর ‘জয় বাংলাকে’ ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বানিয়ে দেশটাকে শুধুই পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। যে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সময় ছিল সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেশ, পঁচাত্তরে যার অবস্থান ছিল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আজকের উন্নত যে কোন দেশের সাথেই তুলনীয়, সেই বাংলাদেশের কাছেই নব্বইয়ের দশকে সিঙ্গাপুর- থাইল্যান্ড-মালয়শিয়া পরিণত হয়েছিল অধরা, স্বপ্নের জগতে।
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকায় এদেশের এমন কোন পেশা নেই যার সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব নেই প্রতিটি পেশার শ্রেষ্ঠ সন্তানরা শিকার হয়েছিলেন বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের। এর মাঝে সংখ্যানুপাতে এগিয়ে চিকিৎসকরা। শতাংশের হিসাব করলে এই পেশারই সর্বোচ্চ সংখ্যক শহীদ, শহীদ বুদ্বিজীবীদের তালিকাকে প্রলম্বিত করেছেন। যে শতাধিক চিকিৎসক একাত্তরের শহীদ বুদ্বিজীবী, তাদের কাউকেই কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে তাদের পেশাগত সাফল্য কিংবা চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাদের অবদানের জন্য পাকবাহিনী আর তাদের দোসররা টার্গেট করেনি। তাদের টার্গেট করা হয়েছিল কারণ তারা তাদের পেশার ঊর্ধ্বে ওঠে নিজ নিজ প্রজ্ঞা, মেধা, মননে এমন একটা উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন যে পাকিস্তানিরা শংকায় ছিল যে তারা বেঁচে থাকলে তারা যে শুধু চিকিৎসক হিসেবেই দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবেন তা-ই নয়, বরং তাদের দিয়ে দেশের উপকার হবে বহুমাত্রিক। তারা দেশটিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের বাংলাদেশে পরিণত করবেন।
অন্যান্য পেশার মতোই চিকিৎসা পেশাও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে মেধা, মনন আর প্রজ্ঞার ঘাটতিতে ভুগেছে অনেক। প্রজ্ঞাবান পেশাজীবীরা ক্রমেই সেই শূন্যতাকে পুরণ করেছেন এবং করছেনও। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রজ্ঞাবান পেশাজীবীদের অকুণ্ঠসহযোগিতা নিশ্চয়ই এর পেছনে ক্রিয়াশীল । কিন্তু তারপরও কেন যেন মনে হয় কোথায় কি নেই? পেশায় প্রজ্ঞার ঘাটতিটা চোখে পড়ে হঠাৎ হঠাৎই। আমার পেশায় আজকে আছেন দেশবরেণ্য চিকিৎসকরা। দেশের ষোল কোটি মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করছেন তারা। দেশের সীমানা পেরিয়ে তাদের অনেকের খ্যাতি দেশের বাইরেও বহুদূর বিস্তৃত। প্রজ্ঞায়, একাডেমিয়ায় আর উদ্ভাবনীতে তাদের অনেকেই উদ্ভাসিত করছেন দেশকে আর এমনকি পৃথিবীকেও।
কিন্তু তারপরেও কিন্তু থেকে যায় যখন দেখি টাঙ্গাইলের বিএমএ’এর নির্বাচিত নেতা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট অবলীলায় ছিঁড়ে ফেলেন, ভুলে যান যে ঐ মুক্তিযোদ্ধা একদিন রুখে না দাঁড়ালে তিনি আজ অধ্যাপক না হয়ে বড়জোর অধ্যাপকের এমএলএসএস হতেন, তখন খুব বেশি করে মনে পরে শহীদ ডা. আলিম চৌধুরী আর শহীদ ডা. ফজলে রাব্বিদের কথা। অন্ধক্রোধে ইচ্ছা করে চিৎকার করে বলি তুমি, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, কোন অধিকার নেই তোমার আমার পেশাকে অসন্মান করার’ আর কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলি হাজার মাইল দূরের ঐ দেশটির মানচিত্রটিকে। একাত্তরে ওরা আমাদের অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তাও না হয় মেনে নিলাম, কিন্তু দেশের মেধা আর বিবেকের এত বড় ক্ষতিটা ওরা না করলেও তো পারতো।
লেখক: চেয়ারম্যন, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
নওগাঁ দর্পন- বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ কমছে
- ঈদের আগেই ‘সুখবরের’ আশা : জিম্মি নাবিক উদ্ধারে আলোচনায় অগ্রগতি
- কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন ভুটানের রাজার
- কারওয়ানবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু
- ডলার সংকট কাটছে
- উপজেলা নির্বাচনে কঠোর নির্দেশনা
- অ্যানেসথেসিয়ার ওষুধ পরিবর্তন করার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের
- এক ইসরাইলির পুরস্কার গ্রহণ করে ড. ইউনূস গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন:
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
- এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন:
- যেসব জিনিসের ওপর জাকাত ফরজ হয়
- নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
- পোরশায় ফিতরা নির্ধারণ সর্বনিম্ন-৭০, সর্বোচ্চ-২৯৫০ টাকা
- ধামইরহাটে হতদরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থ ও হুইল চেয়ার বিতরণ
- আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা
- আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
- ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে সাত বিভাগে
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটান রাজা
- কূপ খননে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ১৯৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- আত্রাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- ঘরে বসে এক কলেই মিলছে পাসপোর্ট-ভিসার সব তথ্য
- অসহায়দের বাড়ি বাড়ি ইফতার বাজার পৌঁছে দিচ্ছে নজিপুর পরিবার
- মান্দায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- রানীনগরে রমযান মাসে টিসিবি পণ্যে স্বস্তি ফিরেছে নিম্মআয়ের পরিবারে
- আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেসব অঙ্গীকার
- নওগাঁর নতুন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা
- নওগাঁয় কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম গ্রেফতার
- নওগাঁয় ধানের বাম্পার ফলন
- নওগাঁয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী
- নওগাঁয় জেলায় এখন ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান
- নওগাঁয় তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে ‘নায়রা’
- বাপাউবো মহাপরিচালক হলেন রাণীনগরের কৃতি সন্তান রমজান আলী
- বঙ্গবাজারে আগুনের সূত্রপাত যেভাবে
- এ বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে সংসদে প্রস্তাব পাস
- নওগাঁয় খামারের ৮০০ হাঁস নিয়ে উধাও পাহারাদার
- নওগাঁ থেকে যশোর-বেনাপোল ও বরিশাল-কুয়াকাটা রোডে বাস চালু
- নওগাঁ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তাক লাগানো রেজাল্ট
- নওগাঁর ‘মাতাজীর স্পঞ্জ মিষ্টি’ মুখে দিতেই গলে যায়
- মহাদেবপুররে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার১
- নওগাঁয় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ঘরের চাল
- নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
- নওগাঁয় এক ভুয়া চিকিৎসকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- বদলগাছীতে সাড়া ফেলেছে বাউ চিকেন
- নওগাঁয় সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু
- সৌদির আজওয়া ও মরিউম খেজুর চাষ হচ্ছে নওগাঁয়
- ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে নওগাঁ স্টেডিয়ামে ভিড়
- স্বাদে-মানে অনন্য নওগাঁর প্যারা সন্দেশ
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭টি ফজিলত
- নওগাঁয় পর্যটকদের নজর কাড়ছে ‘ব্র্যান্ডিং সাপাহার’
- কবে সম্মানি ভাতা পাবেন মুক্তিযোদ্ধা শতবর্ষী বাঘা মাঝি’র!
- যে শোকে বাংলার ইতিহাস কাঁদে
- প্রেম-বিয়ে-খুন-মিন্নি এবং আমাদের বরগুনা
- Wazed Miah: An ever-shining lighthouse
- দুঃখিত ড. জাফরুল্লাহ, আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়
- করোনা সঙ্কট: সম্মিলিত শৃঙ্খলায় আমাদের যুদ্ধ জয়
- করোনাকালে আমার কিছু প্রশ্ন
- অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
- করোনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই
- ইতিহাসে আজকের এই দিনে
- ‘স্বল্পমূল্যে মিলাদ পড়ানো হয়’
- করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর উৎপাদিত কিট ও কিছু সহজ প্রশ্ন
- আষাঢ়ের গল্প
- ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছে না বিএনপি
- রোহিঙ্গারা ফুটবল, বাংলাদেশ খেলার মাঠ, চীন মূল খেলোয়াড়